মধ্বাচার্যের সাক্ষাৎ শিষ্য হওয়া ত্রিবিক্রমাচার্যের পুত্র ও মধ্ব পরম্পরার বৈষ্ণব শ্রীনারায়ণ পণ্ডিত লিখিত [মাধ্ব-গৌড়ীয় পরম্পরায় অত্যন্ত প্রামাণিক] মণি-মঞ্জরী গ্রন্থের ৬ষ্ঠ সর্গের ৭ম শ্লোকে বৈষ্ণব লেখক দাবী করেছেন যে, শঙ্করাচার্য জার হতে উৎপন্ন অর্থাৎ জারজ সন্তান।
- বৈষ্ণব আচার্যদের কটুক্তি সমগ্র - ২
পদ্মপুরাণে শঙ্করাচার্যের মতবাদকে 'প্রচ্ছন্ন বৌদ্ধ' বলা হলেও বৈষ্ণব আচার্য শ্রীমদ্ভক্তিপ্রজ্ঞান কেশব গোস্বামী শঙ্করাচার্যকে আরও সরাসরি ভাষায় আখ্যা দিয়েছেন 'বিশুদ্ধ বৌদ্ধ'। তার 'মায়াবাদ জীবনী বা বৈষ্ণব-বিজয়' গ্রন্থে তিনি লিখেছেন, "তর্কস্থলে পুরাণগুলিকে শঙ্করের পরবর্তী বলিয়া অন্যায়পূর্বক ধরিয়া লইলেও অথবা শঙ্কর সম্বন্ধে তৎ তৎ পুরাণের উক্তিগুলিকে প্রক্ষিপ্ত বলিয়া মানিয়া লইলেও দেখান যাইতেছে যে, শঙ্কর একজন প্রধান মায়াবাদী এবং বিশুদ্ধ বৌদ্ধ।"
তথ্যসূত্র: মায়াবাদের জীবনী বা বৈষ্ণব বিজয়, পৃষ্ঠা ৫১
-
বৈষ্ণব আচার্যদের কটুক্তি সমগ্র - ৪
পবিত্র বেদ নিয়েও কটুক্তি করেছিলেন যে বৈষ্ণব আচার্য-
গৌড়ীয় বৈষ্ণব পরম্পরার অন্যতম গুরু শ্রীল নরোত্তম দাস ঠাকুর তাঁর 'প্রেমভক্তি চন্দ্রিকা' গ্রন্থে লিখেছেন-"জ্ঞানকাণ্ড কর্মকাণ্ড কেবল বিষের ভাণ্ড, অমৃত বলিয়া যেবা খায়। নানা যোনি সদা ফিরে, কদর্য ভক্ষণ করে, তার জন্ম অধঃপাতে যায়।। যা সরাসরি বেদ-নিন্দা।
Tags
ইসক্ন



