রাধাকৃষ্ণের বিয়ে হয়েছিলো কি ? বাসররাত কাটিয়েছে তারা ? [১৮+]

💠 প্রশ্নঃ রাধাকৃষ্ণের বিয়ে হয়েছিলো কি ❓ বাসররাত কাটিয়েছে তারা ❓
উত্তরঃ হ্যাঁ অবশ্যই । বিয়ের পুরোহিত ছিলেন ব্রহ্মা । বিস্তারিত পড়ুন - ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ শ্রীকৃষ্ণ জন্মখণ্ড ১৫।১২৪-১৩৬ ও গর্গসংহিতা গোলকখণ্ড ১৬।৩০-৩৪ । 
 
প্রশ্নঃ তাহলে রাধারাণী শ্রীকৃষ্ণের বৈধ স্ত্রীই । আপনাদের নিন্দাবাদ দেওয়ার কি উদ্দেশ্য যে না পুরাণই শ্রীকৃষ্ণকে কলঙ্কিত করেছে ।
উত্তরঃ কারণ আছে বৈ কি । আগে আমার নিম্নোক্ত প্রশ্নের উত্তর দিন দেখি -
১। রাধা কি বাস্তবিক চরিত্র নাকি কাল্পনিক ? [ আধ্যাত্মিক তত্ত্ব প্যাচানো বাদে ]
২। যদি বাস্তবিক হয় বিস্তারিত ইতিহাস কেন মহাভারত ও পুরাণে কোথাও নেই একমাত্র এই ব্রহ্মবৈবর্ত ও বৈষ্ণবদের গর্গসংহিতা ছাড়া ?
৩। ব্রহ্মসংহিতা ও গর্গসংহিতা কি বিকৃত নাকি অবিকৃত ? বিকৃত হলে বলার মানদণ্ড কী ?
৪। অবিকৃত হলে আমরা এখন নিচে যা দেবো মানেন কি না ? [ পাঠক তখন বুঝবেন কেন পুরাণই কলঙ্ক লাগিয়েছে ]
৫। ব্রহ্মবৈবর্ত ও গর্গসংহিতার মত পিওর বৈষ্ণবীয় গ্রন্থের সিদ্ধান্ত অন্যান্য মত সম্পর্কে মানেন কি ? বলির উল্লেখ করেও কিন্তু পশুবধ ব্যতীত বলিকেই ব্রহ্মবৈবর্ত সাত্ত্বিক বলি বলে । অবশ্য সিজনাল বলিবাদী শিক্ষকদের সেদিকে সযত্নে এড়িয়ে গিয়ে শাক্তপূজা শাক্তনিয়মে হবে বলে প্যাচানোতে দেখা যায় । তাহলে তন্ত্রের বলি প্রমাণে বৈষ্ণবীয় ও শ্রৌত প্রমাণ দেওয়া কেন হে ? 
 
এবার আসুন ব্রহ্মবৈবর্ত একটু খুলে দেখি । ব্রহ্মা রাধা-কৃষ্ণের বিবাহ দিলেন খুবই ভালো কথা । আর বিয়ে দেওয়া শেষে ব্রহ্মা চলে যাওয়ার পর কী হলো ? পড়ছি আমরা সেই ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণেরই শ্রীকৃষ্ণ জন্মখণ্ডের ১৫ অধ্যায় ১৫২-১৬০ শ্লোক থেকে - 
 
তারপরে কৃষ্ণ রাধিকার হাত ধরে নিজে বুকে রেখে চার ধরনের চুম্বন করে বস্ত্র আলগা করে ফেললেন । রতিযুদ্ধে ক্ষুদ্র ঘণ্টিকা সমস্ত বিচ্ছিন্ন হল [ অর্থাৎ সব গয়না খুলে গেলো ] , চুম্বনে, ওষ্ঠরাগ, আলিঙ্গনে চিত্রিত পত্রাবলি, শৃঙ্গারে কবরী ও সিন্দুর-তিলক এবং বিপরীত বিহারে অলক্তাঙ্কুর প্রভৃতি [ অর্থাৎ চুমু - ওষ্ঠ মানে ঠোঁট দিয়ে ইয়ে এসবে সাজগোজ যা ছিলো সব মুছে ফেলো ] দূরীভূত হল। রাধিকার নবসঙ্গমবশে সর্বাঙ্গ পুলকিত হল [ অর্থাৎ নতুন সঙ্গমে শিহরিত শরীর ] ; তিনি মূর্ছিত [ অজ্ঞান ] প্রায় হলেন তাঁর দিবারাত্রি জ্ঞান থাকল না ; কামশাস্ত্র পারদর্শী কৃষ্ণ, অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দ্বারা রাধিকার প্রত্যঙ্গ আলিঙ্গন করে ৮ ভাবে শৃঙ্গার করলেন । আবার সেই বক্রালোচনা রাধিকাকে আকর্ষণ করে হাত ও নখ দিয়ে সর্বাঙ্গ ক্ষতবিক্ষত করলেন । তখন শৃঙ্গার সমরোদ্ভুত কঙ্কণ কিঙ্কিণী মঞ্জীর প্রভৃতির মনোহর শব্দ হতে লাগল [ অর্থাৎ এসব কাজ করার সময় হাতের চুড়িসহ নানা অলঙ্কার পরস্পরে লেগে নানা শব্দ হতে লাগলো ] । তারেপর কামশাস্ত্র- বিশারদ কৃষ্ণ, নির্জ্জনে কৌতুকবশতঃ রাধিকাকে বসন, কবরী ও বেশভূষাদি হতে বিযুক্তা করলেন [ অর্থাৎ যা পোশাক ছিলো সব খুলে ফেললো ] । রাধিকাও তাঁকে চূড়াবিহীন এবং বেশ-বস্ত্রাদি-বিযুক্ত করলেন [ রাধাও কৃষ্ণকে চূড়া থেকে শুরু করে যা আছে পোশাক খুলে ফেলল ] । তাঁরা উভয়েই কার্য্য-কুশল বলে তাঁদের সেইরূপ ভাব কোন ক্ষতিকর হল না [ এক্সপার্ট 🥱 ] । 
 
করে ধৃত্বা চ তাং কৃষ্ণঃ স্থাপয়ামাস বক্ষসি ॥
চকার শিথিলং বস্ত্রং চুম্বনং চ চতুর্বিধম্ ॥
বভূব রতিয়ুদ্ধেন বিচ্ছিন্না ক্ষুদ্রঘণ্টিকা ॥
চুম্বনেনৌষ্ঠরাগশ্চ হ্যাশ্লেষেণ চ পত্রকম্ ॥
শৃঙ্গারেণৈব কবরী সিন্দূরতিলকং মুনে ॥
জগামালক্তকাঙ্কশ্চ বিপরীতাদিকেন চ ॥
পুলকাঙ্কিতসর্বাংঙ্গী বভূব নবসঙ্গমাৎ ॥
মূর্চ্ছামবাপ সা রাধা বুবুধে ন দিবানিশম্ ॥
প্রত্যঙ্গেনৈব প্রত্যঙ্গমঙ্গেনাঙ্গং সমাশ্লিষৎ ॥
শৃঙ্গারাষ্টবিধং কৃষ্ণশ্চকার কামশাস্ত্রবিৎ॥
পুনস্তাং চ সমাশ্লিষ্য সস্মিতাং বক্রলোচনাম্ ॥
ক্ষতবিক্ষতসর্বাঙ্গীং নখদন্তৈশ্চকার হ ॥
কঙ্কণানাং কিঙ্কিণীনাং মঞ্জীরাণাং মনোহরঃ ॥
বভূব শব্দস্তত্রৈব শৃঙ্গারসমরোদ্ভবঃ ॥
পুনস্তাং চ সমাকৃষ্য শয়্যায়াং চ নিবেশ্য চ ॥
চকার রহিতাং রাধাং কবরীবন্ধবাসসা ॥
নির্জনে কৌতুকাৎকৃষ্ণঃ কামশাস্ত্রবিশারদঃ ॥
চূডাবেষাংশুকৈর্হীনং চকার তং চ রাধিকা ॥
ন কস্য কস্মাদ্ধানিশ্চ তৌ দ্বৌ কার্যবিশারদৌ ॥
জগ্রাহ রাধাহস্তাত্তু মাধবো রত্নদর্পণম্ ॥
 

প্রশ্নঃ থাক থাক । আর বলা লাগবে না । এসব কেন তাহলে যারা রাধা-কৃষ্ণের বিয়ে প্রচার করে তা তুলে ধরে না ?
উত্তরঃ তাহলেই যে ভণ্ডামি ধরা পড়ে যাবে। এগুলো লুকোনোর আসল কারণ শোনো -
১। সিজনাল ও 'আপনিই মহান বলা ' ভক্তদের তুষ্ট করা ।
২। মূর্খ শাস্ত্রাদি অধ্যয়ন থেকে দূরে থাকা সনাতনীদের নিজের পদের অপব্যবহার করে সাময়িক একটা পরিতুষ্টি প্রদান করে খ্যাতি অর্জন করার চেষ্টা
৩। বিধর্মীদের কাছে এসব তুলে দিয়ে তাদের নিকট আরো হাস্যকর করে তোলা নিজেদের, যেখানে উচিত আমাদের এগুলো বর্জন করা । 
 
🔴 উল্টাপাল্টা জবাব দেওয়ার বিন্দুমাত্র দুঃসাহস করলে কোন পুরাণ ছাড় দেওয়া হবে না । অপপ্রচার থেকে বিরত থাকুন । নিজের সম্মান বজায় রাখুন । ফলোয়ারের দাপট অন্যত্র দেখাবেন ।
সাবধান হোন । সতর্ক থাকুন ।

Post a Comment

Previous Post Next Post

যোগাযোগ ফর্ম