সত্যার্থপ্রকাশ – ১৪টি সমুল্লাসের সংক্ষিপ্ত বিবরণ

সত্যার্থপ্রকাশ – ১৪টি সমুল্লাসের সংক্ষিপ্ত বিবরণ

১. প্রথম সমুল্লাস

এই সমগ্র ব্রহ্মাণ্ডে ঈশ্বরের চেয়ে শ্রেষ্ঠ আর কেউ নেই। ঈশ্বরই মানুষের সকল প্রকার উন্নতির জন্য বেদে সমগ্র ব্রহ্মাণ্ডের জ্ঞান ও বিজ্ঞান প্রদান করেছেন। সেই ঈশ্বরের সর্বোৎকৃষ্ট নাম ‘ও৩ম্’। বেদে এক ঈশ্বরের বহু নাম উল্লেখ আছে। যেমন রুদ্র, মিত্র, শিব, বিষ্ণু, প্রজাপতি, ইন্দ্র, সূর্য, বরুণ, সোম, মহাদেব, লক্ষ্মী, সরস্বতী ইত্যাদি। এই সমুল্লাসে ঋষি দয়ানন্দ অনন্ত নামের মধ্য থেকে প্রধান ও অতিপ্রসিদ্ধ ১০০ নামের ব্যাখ্যা করেছেন, যাতে ঈশ্বরের স্বরূপ সম্বন্ধে সকলের সংশয় দূর হয়। পাশাপাশি প্রকৃত মঙ্গলাচরণ, গ্রন্থ প্রারম্ভের আর্ষ পরম্পরা সম্পর্কেও আলোচনা করেছেন। 

২. দ্বিতীয় সমুল্লাস

এই সমুল্লাসে সন্তানদের শিক্ষা বিষয়ে লেখা হয়েছে। কারণ শিক্ষা ছাড়া মানুষ পশুর সমান। মানুষের মধ্যে স্বাভাবিক আচরণও শিক্ষার বাইরে আসে না। তাই শিক্ষাহীন মানুষ নানা ধরণের প্রতারণা, ভূত-প্রেত, ডাইনি ইত্যাদিতে মিথ্যা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তা দূর করার ভণ্ডদের ফাঁদে পড়ে, ফলে নিজের ধন, সম্মান, শক্তি, সময় ইত্যাদি নষ্ট করে। ঋষি লিখেছেন, যে মাতা-পিতা তাদের সন্তানদের সুশিক্ষা দেয় না, তারা সন্তানদের চরম শত্রু।

৩. তৃতীয় সমুল্লাস

এই সমুল্লাসে ঋষি পাঠদান ও শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে আলো ফেলেছেন। পড়াশোনার প্রকৃতি কেমন হওয়া উচিত, তা এখানে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। গুরুকুল শিক্ষা-পদ্ধতি, প্রমাণ-ভিত্তিক পরীক্ষা, সত্য ও মিথ্যা যাচাই, পড়াশোনার উপযুক্ত বেদ ও আর্শ গ্রন্থ, ত্যাজ্যগ্রন্থ, ব্রহ্মচর্যের কাল, গায়ত্রী মহামন্ত্রের অর্থসহ জপ পদ্ধতি, প্রাণায়ামের চার প্রকার, আচমনসহ সন্ধ্যোপাসনা, যজ্ঞ-অগ্নিহোত্র এবং পঞ্চমহাযজ্ঞ (ব্রহ্মযজ্ঞ, দেবযজ্ঞ, বলি-বৈশ্বদেবযজ্ঞ, পিতৃযজ্ঞ, অতিথিযজ্ঞ) ইত্যাদি বিষয়ে আলো দেওয়া হয়েছে। এই শিক্ষা মানুষকে সুশিক্ষিত করে তোলে। এ শিক্ষা থেকেই আর্যাবর্তে মর্যাদাপুরুষোত্তম শ্রীরাম, যোগেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ, মহর্ষি  জৈমিনি, মহর্ষি কণাদ, মহর্ষি কপিল, মহর্ষি গৌতম, মাতা সীতা, মাতা রুক্মিণী, ঋষি পতঞ্জলি, মহর্ষি পাণিনি ইত্যাদি আবির্ভূত হয়েছেন। এই গুরুকুলীয় শিক্ষা ও আর্ষ পাঠক্রম প্রয়োগ করে সভ্য মানুষ উৎপন্ন করার উদ্দেশ্যে এই সমুল্লাস রচিত।

৪. চতুর্থ সমুল্লাস

চার আশ্রমের মধ্যে গার্হস্থ্যাশ্রমকে শ্রেষ্ঠ বলা হয়েছে। কারণ এই আশ্রমই বাকী তিনটি (ব্রহ্মচর্য, বানপ্রস্থ, সন্ন্যাস) কে পোষণ করে। তাই এখানে বিবাহ এবং এর ৮ প্রকার আলোচনা করা হয়েছে। কোন নারী-পুরুষের বিবাহ হওয়া উচিত, কোন বিবাহ উত্তম, কারা বিবাহ করতে পারবে না, উত্তম সন্তানের উৎপত্তি কেমন হবে, বিবাহে গুণ ও দোষের বিবেচনা, স্বয়ংবর বিবাহ, বাল্যবিবাহ বিরোধ ইত্যাদি বিষয়ে বৈদিক মন্ত্র ও অন্যান্য শাস্ত্রীয় প্রমাণ দিয়ে উৎকৃষ্ট গার্হস্থ্য আশ্রম রচনার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

৫. পঞ্চম সমুল্লাস

আমাদের সংস্কৃতির ভিত্তি হলো চতুর্বর্ণাশ্রম। জীবন-কাল প্রায় তিন-চতুর্থাংশ বনেই অতিবাহিত হতো (ব্রহ্মচর্য, বানপ্রস্থ, সন্ন্যাস)। শেষ দুই আশ্রম—বানপ্রস্থ ও সন্ন্যাস—এ মানুষের দায়িত্ব ছিল বন থেকে সমাজহিতকর কর্ম করা। যতদিন এই প্রথা চলত, দেশে তপস্বী, বেদপ্রচারক, গুরুশিক্ষক প্রাপ্ত হতো। কিন্তু প্রথা বিলুপ্ত হলে বৃদ্ধেরা ঘরে বসে পরিপূরকভাবে কিছুই করতে পারল না, পরিবারের মধ্যে ভুল বোঝাপড়া ও নাতি-নাতনির মোহে সামাজিক পরিবেশ নষ্ট হলো, এবং দেশও কোনো লাভ পায়নি। ফলে রাষ্ট্র দুর্দশাগ্রস্ত হলো। এই সমুল্লাসে কারা বানপ্রস্থী বা সন্ন্যাসী হওয়া উচিত এবং তাদের কর্তব্য কী, তা আলোচনা করা হয়েছে।

৬. ষষ্ঠ সমুল্লাস

এতে ঋষি মনুস্মৃতি-ভিত্তিক রাজতন্ত্র বিষয়ে লিখেছেন। যতদিন আমাদের দেশে ঋষিরা রাজতন্ত্র রক্ষা করেছেন, ততদিন দেশ সমগ্র বিশ্বে চক্রবর্তী শাসনে সক্ষম ছিল। মনুস্মৃতিতে রাজা কর্তব্য, দৈনন্দিন জীবন, শিক্ষা, প্রজা সম্পর্ক, দান, বর্ণব্যবস্থা রক্ষা এবং রাজ্য পরিচালনার নিয়ম উল্লেখ আছে। এই প্রমাণ ব্যবহার করে ঋষি দয়ানন্দ রাজতন্ত্রকে সুদৃঢ় করার মাধ্যমে দেশকে পুনরায় আর্যাবর্তে পরিণত করার উদ্দেশ্য প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, রাজা এবং প্রজার মধ্যে সমন্বয় থাকলে শাসন অচল হয় না। ঋষি দয়ানন্দ চেয়েছিলেন সনাতনীদের হারানো চক্রবর্তী শাসন পুনরায় প্রতিষ্ঠা হোক এবং সমস্ত অবৈদিক ইসলাম ও খ্রিষ্টধর্ম নির্মূল হয়ে বৈদিক রাষ্ট্র পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত হোক।

৭. সপ্তম সমুল্লাস

এই সমুল্লাসে ঋষি দয়ানন্দ বেদ এবং ঈশ্বর বিষয় আলোচনা করেছেন। কারণ আদিকালে সৃষ্টির শুরুতে ঈশ্বর সৃষ্টিকর্ম সম্পন্ন করে মানুষদের মানসিক, শারীরিক, আধ্যাত্মিক ও সামাজিক উন্নতির জন্য বেদের জ্ঞান প্রদান করেছেন চার মহাপ্রবীণ ঋষির মাধ্যমে। পরে ব্রহ্মা ঋষি, তারপর গুরু-শিষ্য পরম্পরায় এই জ্ঞান মানবজাতির মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। এই সমুল্লাসে ঋষি দয়ানন্দ বহু বেদমন্ত্র এবং বিভিন্ন দর্শনশাস্ত্রের প্রমাণ দিয়ে ঈশ্বরের স্বরূপ প্রতিষ্ঠা করেছেন, যাতে কারও মনে ঈশ্বরের বিষয়ে কোনো সন্দেহ না থাকে। এছাড়াও বেদের নিত্যতা, অর্থাৎ ঈশ্বরের নিত্যজ্ঞান হিসাবে বেদের নিত্যত্বের বিষয়ও এখানে বিবেচিত হয়েছে।

৮. অষ্টম সমুল্লাস

এই অষ্টম সমুল্লাসে সৃষ্টির ত্রৈতবাদ বিষয়ে লেখা হয়েছে। কারণ এই সৃষ্টির উৎপত্তি তিনটি কারণ থেকে—পরমাত্মা, জীব এবং প্রকৃতি। তাই এগুলোকে ক্রম অনুযায়ী নিমিত্ত কারণ, সাধারণ কারণ এবং উপাদান কারণ বলা হয়। এই ত্রৈতবাদ সহজভাবে বোঝানোর জন্য ঋষি বেদমন্ত্রের প্রমাণ উল্লেখ করেছেন, কারণ ঈশ্বরের সৃষ্টিকে শুধুমাত্র বৈদিক জ্ঞান ব্যতীত সঠিকভাবে বোঝা সম্ভব নয়। তদনুযায়ী ঋষিদের লিখিত যুক্তিশাস্ত্রও এই সৃষ্টিকে বোঝার ক্ষেত্রে সহায়ক।

৯. নবম সমুল্লাস

এতে ঋষি বন্ধন এবং মুক্তি বা মোক্ষ বিষয়ে আলোচনা করেছেন। যাতে মানুষ বেদ, পতঞ্জলি যোগশাস্ত্র তথা বৈদিক শাস্ত্র অনুযায়ী ঈশ্বরোপাসনা করে নিজের অন্তরের মিথ্যা জ্ঞান ধ্বংস করে তত্ত্বজ্ঞান লাভ করতে পারে। এই উদ্দেশ্য পূরণের জন্য ঋষি ব্রহ্মতত্ত্ব, এর জ্ঞান, শক্তি ও সামর্থ্য ব্যাখ্যা করে, বন্ধনের কারণ এবং তা নাশ করার উপায় সংক্ষেপে এই সমুল্লাসে তুলে ধরেছেন।

১০. দশম সমুল্লাস

কোনও মানুষ সমাজে উত্তম আচরণ ছাড়া সুখ লাভ করতে পারে না। কম শিক্ষিত মানুষও যথাযথ আচরণ করে সমাজে সম্মান অর্জন করে, আবার অত্যধিক শিক্ষিত মানুষও অনুচিত আচরণ করলে অপমানিত হয়। তাই ঋষি মানুষের জন্য উত্তম আচরণ এবং ভক্ষ্য ও অভক্ষ্য বিষয় শিক্ষা প্রদান করে এই সমুল্লাস রচনা করেছেন।

১১. একাদশ সমুল্লাস

মহাভারতের যুগের পূর্ব পর্যন্ত সমগ্র বিশ্বে শুধু বৈদিক ধর্মই প্রচলিত ছিল এবং আমাদের দেশ আর্যাবর্ত ছিল সমগ্র বিশ্বের কেন্দ্র। আমাদের আর্য রাজাদের চক্রবর্তী শাসন ছিল। আমাদের বেদপ্রচারক ঋষিমুনি সমগ্র বিশ্বে বেদ প্রচারের জন্য যেতেন। মহাভারতের ভীষণ যুদ্ধে আমাদের প্রচারকরা নিহত হলে বিশ্ব বেদের শিক্ষাহীন হয়ে পড়ল। আর্যাবর্তও এই প্রভাব থেকে অক্ষুণ্ণ ছিল না। বেদ শিক্ষার বিপরীতে বহু কল্পিত মত ও পন্থা আর্যাবর্তে জন্ম নিল, এবং এ মত-মতান্তরের বহু শাখা ও উপশাখা তৈরি হলো। এতে আর্যাবর্তের মানুষদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি হলো, বর্ণব্যবস্থা বিকৃত হয়ে জাতিভেদে পরিণত হলো। বিভিন্ন গুরু, অবতার, বাবা, সাধু ইত্যাদি তাদের নিজস্ব ভিত্তিতে নতুন মতপন্থা তৈরি করত এবং মানুষকে বেদের শিক্ষা থেকে দূরে সরাত। এই সমুল্লাসে ঋষি দয়ানন্দ সেই সমস্ত পন্থা এবং তাদের অবৈদিক বিশ্বাস খণ্ডন করে বেদমতের মণ্ডন করেছেন। কারণ ওই সমস্ত পন্থা শুধু তাদের অনুসারীর সংখ্যা বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যে তৈরি হয়েছিল। ধর্মীয় এই বিভাজনের ফলে আমাদের দেশ ৩০০০ বছরে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ১২০০ বছর বিদেশীর শাসনে ছিল। এই পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে, শুধুমাত্র এক বৈদিক সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যেই ঋষি এই সমুল্লাস লিখেছেন।

১২. দ্বাদশ সমুল্লাস

এই সমুল্লাস বেদবিরোধী নাস্তিক মত যেমন বৌদ্ধ, জৈন, চার্বাক ইত্যাদির খণ্ডনে রচিত। আর্যাবর্তে অন্যান্য যত পন্থা জন্মেছিল, তাদের অধিকাংশ আংশিকভাবে ঈশ্বর ও বেদকে মানত, কিন্তু এই জৈন ও বৌদ্ধ মত সম্পূর্ণ নাস্তিক এবং তীব্র বেদবিরোধী ছিল। এজন্য বহু বৌদ্ধ ক্ষত্রিয় ও ব্রাহ্মণদের প্রতি ঘৃণাভাবে দেশদ্রোহ পর্যন্ত করেছিল এবং মুসলমান আক্রমণকারীদের সহায়তা করেছিল। ঋষি দয়ানন্দ প্রধান বৌদ্ধ, জৈন, চার্বাক ইত্যাদি গ্রন্থের প্রমাণ উপস্থাপন করে তাদের নিরীশ্বরবাদ এবং বেদভিত্তিক আস্তিকতার প্রতিষ্ঠা সুন্দরভাবে করেছেন।

১৩. ত্রয়োদশ সমুল্লাস

ভারতে ইংরেজরা ভ্যাটিকানের নির্দেশে সনাতন ধর্মাবলম্বী জনসাধারণকে খ্রিস্টান করার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়েছিল। তাই গ্রামের অশিক্ষিত মানুষদের খ্রিস্টান করার জন্য পাদ্রি ও পাস্তর গ্রাম-গ্রাম বাইবেল নিয়ে ঘুরতেন, হিন্দু দেবদেবীর নিন্দা করতেন এবং যিশু মসীহের মহত্ত্ব প্রচার করতেন। এই কাজে ইংরেজরা প্রচুর অর্থ ব্যয় করছিল। ঋষি দয়ানন্দ তাদের মান্য বাইবেল নিয়ে এর নির্বাচিত বাক্যসমূহেরবপর্যালোচনা করেছেন এবং বাইবেলের অজানা, নিকৃষ্ট দিক মানুষের সামনে উন্মোচিত করেছেন। তিনি প্রমাণ করেছেন যে খ্রিস্টমত সর্বশ্রেষ্ঠ আর্যধর্মানুসারী মানুষের উপযুক্ত নয়। এই কারণে এই সমুল্লাস খ্রিস্টান ধর্ম খণ্ডনের জন্য লেখা হয়েছে, যাতে মানুষ বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে বাইবেলের অযৌক্তিক বিষয়গুলো পড়ে তুলনামূলকভাবে বৈদিক ধর্মের শ্রেষ্ঠতা গ্রহণ করে। বহু খ্রিস্টান এবং পাদ্রি এই সমুল্লাস পড়ে খ্রিস্টধর্ম ত্যাগ করে বৈদিক ধর্মে ফিরে এসেছেন।

১৪. চতুর্দশ সমুল্লাস

আরবে উদ্ভূত ইসলাম চিন্তাধারা শুরু থেকেই হিংসার উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত। ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ, যিনি মক্কায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার অনুসারী ও খলিফারা ইসলামের সম্প্রসারণের জন্য এটি একটি ধর্মীয় সম্প্রদায় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।  এ সকলের মূল গ্রন্থ কোরআন। ভারতে হিন্দুদের মুসলমান করার জন্য কোরআনের অনুগামীরা ১০০০ বছর আগে থেকে বর্তমানকাল পর্যন্ত প্রচণ্ড অত্যাচার চালিয়েছে ও চালাচ্ছে। সারা বিশ্বের সন্ত্রাসী ঘটনা, সিরিয়া, ইরাক, ইয়েমেন ইত্যাদিতে সংঘটিত গৃহযুদ্ধ ও গণহত্যা কোরআনের চিন্তাধারা দ্বারা অনুপ্রাণিত। এজন্য ঋষি দয়ানন্দ এই সমুল্লাসে প্রায় ২০০-এর বেশি কোরআনের আয়াতের পর্যালোচনা করেছেন এবং মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। তিনি এই সমুল্লাস কাউকে অহেতুক নিন্দা করার জন্য নয়, বরং মুসলমানদের চিন্তাভাবনার জন্য লিখেছেন। মুসলিম সংগঠনসমূহ এই সমুল্লাসের অযৌক্তিক ও বিরোধ করলেও ঋষি দয়ানন্দের যুক্তি আজও কোনো সাহসী ব্যক্তি কাটতে পারেননি। সত্যার্থপ্রকাশ খণ্ডন করার চেষ্টা করা বহু মৌলভি ও মুফতি নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে বিচার-বিশ্লেষণ করে অবশেষে বেদের প্রভাবে ইসলাম ত্যাগ করে শুদ্ধ বেদপ্রচারক হয়ে গিয়েছেন।

লেখাঃ শ্রী মৃগেন্দ্র ব্রহ্মচারী 

স্বামী শ্রদ্ধানন্দ শুদ্ধি ও পরামর্শ কেন্দ্র

Post a Comment

Previous Post Next Post

যোগাযোগ ফর্ম