পদ্মপুরাণ মতে বিধবারা কাম জ্বালা মেটায় কীভাবে? [১৮+]


নারী চিন্তা করে বিধবা হলে সমস্ত ধন আমার হবে । বিধবা হওয়ার পর সে নিশ্চিন্ত মনে সেই দিন বা রাতে যোনি রূপী কুণ্ড নিয়ে একান্তে বসে বস্ত্র খুলে যোনি বের করে তাতে হাত রেখে বলে, ' ওহে যোনি তুমি কেমন কাজ করেছো? তুমি ভয়ংকর পাপ করেছো। কেননা তুমি দ্বিতীয় শিশ্ন (লিঙ্গ) নিজের মধ্যে ঢুকিয়েছো। এই পাপ যে করেছে সে সেবাও করেনি আমার।
 এরপর যদি তার যোনিতে চুলকানি হয় তখন সে নিজের আঙুল যোনিতে ঢুকায় আর চুলকানির জন্য নানা বুদ্ধি করে । সে দুই হাত দিয়ে যোনি প্রশস্ত করে ঘষাঘষি করে। দুঃখী হয়ে নিজেরব মুখ খুলে দুই পা বারংবার মাটিতে আঘাত করে। কিংবা কাঠ বা খাট ধরে নিজের ইচ্ছামতো স্তন চাপাচাপি করে। তারপর বিকার হলে ব্যভিচারিণী হয়ে যায়। দিনে কোন পুরুষের সাথে কথা বলে, সন্ধ্যা বা রাত হলে ঘরে কিংবা গলিতে নিজের পোশাক বদলে অন্য কোন ব্যক্তি দ্বারা ভোগ্য হয়। কিংবা নিন্দা হবে ভেবে অন্য কোন পুরুষকে নিজের ঘরে নিয়ে আসে । অজ্ঞাত ঘরে গিয়ে নিশ্চিতভাবে সেই ব্যক্তির সাথে যৌনমিলন করে। নারীর সামনে ধনসম্পদ থাকলে সে এই কাজ করে।
শম্ভু মুনি কথিত কাহিনী । পদ্মপুরাণ পাতালখণ্ড অধ্যায় ১১২ শ্লোক ২৩-৩০ । পদ্মপুরাণের নবভারতের সংস্করণে ৬৮ নং অধ্যায়ে এই কাহিনী আছে । অনুবাদকরা লজ্জায় অনুবাদই করেনি ।
 

 
  •  মূলঃ
ধব্যে দ্রবিণং সর্বং ধর্মার্থং মে ভবিষ্যতি ।
ইতি নিশ্চিত্য মনসা বৈধব্যে সমুপস্থিতে ২৩।
যোনিকুণ্ডং সমাসাদ্য দিবা বা যদি বা নিশি ।
একান্তস্থানমভ্যেত্য বিবৃত্য বসনং ভগম্ ২৪।
ইদমূচে বচো দুঃখাদুপস্থস্থকরা সতী ।
কিং ত্বয়া বৈ কৃতং যোনে কিম্বা পাপমুপাশ্রিতা ২৫।
শিশ্নস্য বাথবা পাপং যত্ত্বদন্তরবেশনাৎ ।
যচ্চ কর্তৃকৃতং পাপং মাদৃক্সেবাবিবর্জনাৎ ২৬।
অতোপি কণ্ডূসম্ভূতৌ প্রবেশয়েদথাঙ্গুলীম্ ।
বিচিত্রচেষ্টাং কৃত্বা তু কণ্ডূ বুদ্ধেরতঃ পরম্ ২৭।
মর্দয়িত্বা করাভ্যাং তৎসন্তাড্য চ বিবৃত্য তু ।
অসকৃদ্ধুন্বতী পাদৌ বিবৃতাস্যাতিদুঃখিতা ২৮।
খট্বা কাষ্ঠমথালিঙ্গ্য স্তনপীডং যথাপ্রিয়ম্ ।
অথো বিচিত্রচিত্তত্বে ততঃ প্রদ্যুষ্টতী ভবেৎ ২৯।
অথবাহ্নি পুরে স্থিত্বা শাকং ব্যবহৃতং চ যৎ ।
আলম্ব্য বেশ্মনি নিশি সন্ধ্যায়াং বিশিখাসু চ ৩০।
 

 
 
সারকথাঃ পুরাণ কখনোই হিন্দুদের ধর্মশাস্ত্র হতে পারেনা। এগুলো কেবল অশ্লীল ও অযৌক্তিক সাহিত্য মাত্র। কাজেই, এসব পুরাণ ও পুরাণ নির্দেশিত আচার অনুষ্ঠান অন্ধভাবে না মেনে, প্রধান ধর্মগ্রন্থ বেদের পথে ফিরে আসুন। বেদের অধ্যয়ন করে মানব জীবন সফল করুন। এসব পুরাণই হিন্দু যুব সমাজের ধর্মান্তরিত হওয়ার মূল কারণ। সময় থাকতে আমাদের সচেতন হওয়া উচিত। 
 
  • মোতিলালের ইংরেজি অনুবাদ- 
 

  •  চৌখাম্বা প্রকাশিত হিন্দি অনুবাদ -


 

 
 

Post a Comment

Previous Post Next Post

যোগাযোগ ফর্ম